পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি বাবার চিঠিঃ মা'রে, শুরুটা কিভাবে করবো বুজে উঠতে পারছিলাম না। যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে নিজের মা হারানোর ব্যাথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তোর মাকেও কোনদিন মা ছাড়া অন্য নামে ডাকেতে শুনিনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো। তাই চিঠির উপরে তোর নামের জাগায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুজতেই পারিনি। ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি। আমি তখন ভেতরে বসে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতীর কাছে কি করে মুখ দেখাব। জানিস মা তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুজে পেয়েছিস। কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে। মা'রে প্রত্যেকটা বাবা ...
সুমি এবার নবম শ্রেণীতে পড়ে। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় ১টা ছেলে তার দিকে তাকিয়ে থাকে সে লক্ষ করে। ছেলেটির নাম সুমন। 👇 সুমন প্রায় ১ বছর ধরে ভালবাসে সুমিকে, কিন্তু বলতে পারে না। কারণ সুমি খুব ধনী পরিবারের মেয়ে। আর সুমন গরিবের ছেলে। এক দিন সুমন সাহস করে বললো, "আমি আপনাকে ভালবাসি। জানি আপনি আমায় ভালবাসতে পারবেন না। কারণ আমি গরিব" কথাগুলো বলে সুমন চলে গেল। এই ভাবে ১টা বছর চলে গেল। এখন দশম শ্রেণীতে সুমি। সে লক্ষ করে আজও সুমন তার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করে। সুমি আস্তে আস্তে সুমনের প্রেমে পড়ে যায়। তাই সুমি বলে দিলো তার মনের কথা। 👇 দুজনের প্রেম চলতে লাগে ১বছর। এই ১বছরের মাঝে দু'জন কখনো একাকি দেখা করেনি, কেউ কারো হাত ধরে রাস্তাতেও চলেনি। S.S.C পরীক্ষার পড়ে সুমির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু সুমি বিয়েতে রাজি না। কারণ সুমি সুমনকে ছাড়া আর কেউকে নিজের স্বামি হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে না। সুমি ফোন কোরলো সুমনকে -হ্যালো সুমন -হ্যা বলো -তুমি আজ রাতে আমাকে পালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে? -কেন? হঠাৎ করে কি হল? -আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই বলে সুমি কেঁদে দিলো। 👇 -কেঁদো...
“ বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো”।বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) “একটা গল্প শুনবি?”ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-“বলো বাবা শুনবো……”তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দু হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখোনো বুঝতে দেইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর ‘মা কে ‘সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবার ই প্রথম আমরা দুজন- আমি-আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো। সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটা মুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়েগেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঔষধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে পায়ে হেটে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুব দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখোনো কাউকে বুঝতে দিইনি এমনকি তোর মা কেও না। একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু পরের...
Comments
Post a Comment